টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাঁশতৈল ইউনিয়নের উত্তর পেকুয়া গ্রামে নিজের বিয়ের দিন বরযাত্রী নিয়ে গিয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে নিজের বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা করলেন ছাত্রলীগ নেতা শরীফ মাহমুদ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জনতা তাকে গণধোলাই দিয়ে শাস্তি দেয় এবং শেরওয়ানি খুলে নিয়ে তা পুড়িয়ে ফেলে। অভিযুক্ত শরীফ মাহমুদ স্থানীয় আদম ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে এবং আওয়ামী ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। এছাড়া বাঁশতৈল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম শামসুর ভাতিজা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীফ মাহমুদের সঙ্গে এক তরুণীর কাবিন সম্পন্ন হয়। তবে মেয়েপক্ষ প্রথমে বিয়েতে রাজি ছিল না। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে তারা সম্মত হয় এবং গত ২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়। সিলেটে চৌধুরীর অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন লোদী সিলেটে চৌধুরীর অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন লোদী বিস্তারিত পড়ুন কিন্তু বিয়ের দিন শরীফ মাহমুদ একদিকে বরযাত্রী নিয়ে আসেন, আর অন্যদিকে তার দুই বন্ধুকে প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে অভিযোগ করান যে কনের বয়স কম এবং এটি বাল্যবিবাহ। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে কন্যার পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা বরকে গণধোলাই দেয় এবং স্থানীয় মাতব্বররা তাকে জরিমানা করেন। পরে ক্ষুব্ধ জনতা তার শেরওয়ানি খুলে নেয় এবং তা পুড়িয়ে ফেলে। এ সময় বরপক্ষের অনেকে চুপিচুপি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও শরীফ মাহমুদ একাধিকবার মেয়েদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তবে রাজনৈতিক ও পারিবারিক প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে পারেনি। এ ঘটনায় কন্যার পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। যদিও এখনো কোনো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি, তবে এলাকাবাসী ঘটনার ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *