কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া বাজারে লাগা ভয়াবহ আগুন প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট এবং স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে রাত ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস, পরে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস এবং সবশেষ কুমিল্লা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট করে ৩টি স্টেশনের মোট ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন ফায়ার ফাইটাররা।কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস, পরে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিস এবং সবশেষ কুমিল্লা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট করে ৩টি স্টেশনের মোট ৬টি ইউনিট কাজ শুরু করে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হন ফায়ার ফাইটাররা। তিনি জানান, আগুনের উৎস সম্পর্কে এখনও জানা যায়নি। নির্দিষ্ট করে সংখ্যাটি না বলা গেলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো হবে।প্রত্যক্ষদর্শী মাধাইয়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, চোখের সামনে শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসার অবস্থা। কেউ কিছুই বের করতে পারেননি। দোকানের সবকিছু আগুন পুড়তে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তাকিয়ে থাকা ছাড়া তাদের কিছুই করার ছিল না তাদের। সহায়-সম্বল হারিয়ে এখন পুড়ে যাওয়া দোকানের পাশে বসে কান্না করছেন তারা। অপরদিকে, মাধাইয়া বাজারটি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত। রাতে আগুন লাগার খবরে স্থানীয় বাসিন্দা এবং মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরাও নেমে পড়েন আগুন নিয়ন্ত্রণে। এতে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের মাধাইয়া থেকে দুই প্রান্তে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী মাধাইয়া বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, চোখের সামনে শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এখন পথে বসার অবস্থা। কেউ কিছুই বের করতে পারেননি। দোকানের সবকিছু আগুন পুড়তে দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তাকিয়ে থাকা ছাড়া তাদের কিছুই করার ছিল না তাদের। সহায়-সম্বল হারিয়ে এখন পুড়ে যাওয়া দোকানের পাশে বসে কান্না করছেন তারা। চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিয়া হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে।