ছবি: দেলোয়ার হোসেন দেলু(৫৫)।তালাশ বাংলা।

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় আহত দেলোয়ার হোসেন দেলু টানা ২৩ দিন পর মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। (১৯ ডিসেম্বর ২০২৪) বৃহস্পতিবার দুপুরে দেলোয়ার হোসেন দেলু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন করিম খান রিপন মেম্বার। মেম্বার জানায়,দেলোয়ার হোসেন দেলু বাকশীমূল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের খোদাইধূলি গ্রামের এডভোকেট জাকির হোসেন এর পিতা। মৃত্যুকালে স্ত্রী সহ ৪ ছেলে ২ মেয় ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে হেছেন।মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। জানা যায়,(২৬ নভেম্বর ২০২৪) মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কালিকাপুর-বাকশীমূল রেলক্রসিং এলাকায় দূর্ঘটনাটি ঘটে।ওই দিন মঙ্গলবার সকালে বাকশীমূল চৌমুহনী থেকে ৮ জন যাত্রী নিয়ে অটোরিকশা চালক সাজু তার অটোরিকশা নিয়ে বাকশীমূল চৌমুহনী থেকে কালিকাপুর যাওয়ার পথে রেলক্রসিংয়ে পৌঁছলে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে ধাক্কা লাগে দূর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ৮ মাসের গর্ভবতী নারী,অটোরিকশা চালক সহ ৭ জন মারা যায়।উক্ত দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় দেলোয়ার হোসেন দেলু। টানা ২৩ দিন পর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৩০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের মাতম চলছে। শুক্রবার সকাল ১০ টায় খোদাইধূলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। ওই দিন দূর্ঘটনায় যারা মারা গেলেন তারা হলেন বুড়িচং উপজেলার বাকশিমূল গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে আলী আহমদ,মৃত.তৈয়ব আলীর ছেলে( চালক) সাজু মিয়া(৪০),মৃত: আব্দুল মালেকের স্ত্রী লুৎফা বেগম(৬৫),মনিরের স্ত্রী ৮ মাসের গর্ভবতী শাইনুর আক্তার সানু (২৬),আলী আশরাফের স্ত্রী সফর জান বেগম ও খোদাইধূলি গ্রামের মৃতঃ আছমত আলীর ছেলে রফিক মিয়া রফেজ (৫৫),মৃত: বজলু মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৬০)। নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহযোগীতা করেছিলেন বুড়িচং উপজেলা ইউএনও সাহিদা আক্তার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *