বাবা সাকিব খা সঙ্গে আদালতে দুই শিশু সন্তান! ছবি;-তালাশ বাংলা

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পয়াত গ্রামের দুই শিশু পুত্র সন্তানের জননী মাকসুদা আক্তার প্রীতি(২৫) পরকিয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় স্বামী সাকিব খা বাদি হয়ে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।গত ১৯ নভেম্বর, মঙ্গলবারে মাকে ফিরে পেতে বাবার সঙ্গে যান কুমিল্লা আদালতে দুই শিশু সন্তান। মামলার বিবরণ ও বাদি সাকিব খা এর মাধ্যমে জানা যায়,বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের পয়াত গ্রামের হিরণ খা’র ছেলে মোঃ সাকিব খা’র সাথে আদর্শ সদর উপজেলার সদর রসুলপুর গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের মেয়ে মাকসুদা আক্তার প্রীতির ২০১৭ সালে ২৮ অক্টোবর পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করে।সাকিব খা আরো বলেন, বিয়ের পর সংসারে সব কিছু স্বাভাবিক চললেও মাকসুদা তাকে স্বামীর মর্যাদা না দিয়ে নানাহ দুর্ব্যবহার করতে থাকে।তাদের দুই পুত্র সন্তান আনিক খা ৬ বছর আর আরিয়ান খা আড়াই বছর চলমান। সাকিব খা অভিযোগ করে বলেন তার স্ত্রীর সাথে একই গ্রামের আবুল হোসেনের বখাটে ছেলে মোঃ মহিন (২০)এর সাথে এক বছর পূর্ব হতে অবৈধ পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্বামী সাকিব খা জানতে পেরে স্ত্রী মাকসুদা ও পরকিয়া প্রেমিক মহিন কে সতর্ক করে দেন এবং কেউ কারোর সাথে যোগাযোগ না রাখার কড়া কড়ি ভাবে প্রতিশ্রুতি দেন । কিন্ত এতে কোনো সুফল হয়নি বরং বিষয়টি আরো বেশি গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে এ ঘটনাটি সাকিব খা তার শ্বশুর ও শাশুড়ি কে জানালেও কোনো সমাধান হয়নি। গত ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে মাকসুদা আক্তার প্রীতি (২৫) কাউকে কিছু না বলে সকলের অগোচরে অবুঝ দুই শিশু পুত্রকে ঘরে ফেলে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে উধাও হয়ে যায়। সাকিব খা আরো জানায় মাকসুদা যাওয়ার সময় নগদ টাকা স্বর্ণালংকার সহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। ওই দিন পর্যন্ত স্ত্রী অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বুড়িচং থানায় অভিযোগ করলে। থানা পুলিশ আদালে যাওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার অবুঝ দুই শিশু তাদের মাকে ফিরে পেতে পিতার সঙ্গে আদালত যায়। শিশুরা কান্না জড়িত কন্ঠে শুধু বলে মা ও মা আমাদের কে নিয়ে যাও, আর না হয় আমাদের কাছে ফিরে এসো। এঘটনায় সাকিব খা বাদি হয়ে পরকিয়া প্রেমিক মোঃ মহিন ও তার স্ত্রী মাকসুদা আক্তার প্রীতি কে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *