কুমিল্লায় দুই ছাত্রের মৃত্যু

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ফুচকা খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র মোহাম্মদ রাফি (১৭) নিহত হয়েছেন।অন্য এক পৃথক ঘটনায় দেবিদ্বারে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আফসার উদ্দিন রানা (১৭) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টায় উপজেলা ঘোলপাশা ইউনিয়ন আমানগন্ডা নতুন রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ রাফি গোলপাশা ইউনিয়ন আমন গন্ডা গ্রামের মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় আমারগন্ডা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণি ছাত্র। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের চাচা জামাল উদ্দিন মেম্বার। স্থানীয় সূত্র ও মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ জানান, রাফিসহ তারা তিন বন্ধু মারুফ ও বাপ্পি চৌদ্দগ্রাম বাজার থেকে শুক্রবার রাতে ফুচকা খেয়ে মহাসড়ক পার হয়ে বাড়ি ফেরার পথে পেছন থেকে অজ্ঞাতনামা একটি গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ রাফি। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত মোহাম্মদ রাফিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মো. রাফিকে হাসপাতলে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। নিহত রাফির লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।অপরদিকে দেবিদ্বারে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আফসার উদ্দিন রানা (১৭) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টায় দেবিদ্বার সরকার বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাঠে খেলা শেষে বিদ্যুতের তার গোছাতে গিয়ে‌ দুর্ঘটনার শিকার হয় সে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নিহত রানার বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জর গ্রামে। সে কোম্পানিগঞ্জ বদিউল আলম ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।স্থানীয়রা জানায়, ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য শুক্রবার মাঠ প্রস্তুত করেছিল রানা। লাইটিংয়ের জন্য পাশের বাড়ির সুইচবোর্ড থেকে বিদ্যুৎ এনে সন্ধ্যা থেকে খেলা শুরু করে। রাত ১১টায় খেলা শেষে লাইটিং তার গোছানোর সময় একটি লিকেজে হাত লে‌গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় রানা।রানার মা রোজিনা আক্তার ব‌লেন, ১১ বছর আগে বিদেশে আমার স্বামী মারা যায়। তারপর সন্তানদের লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে আমি দেবিদ্বারে চলে আসি। গতকাল সন্ধ্যায় খেলতে যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়। রাত ১১টায় আমার কাছে খবর আসে আমার ছেলে আর নাই।এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, বিষয়টি শুনেছি, তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *