কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় চান্দলা ইউনিয়নের খলিফাপাড়া এলাকায় ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এলাকাবাসী ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জাবেদ হোসেন বলেন, প্রসূতি রাশিদা আমার আত্মীয়। গত ১০ নভেম্বর সকালবেলা চান্দলা খলিফাপাড়া এলাকার নুরু মিয়ার মেয়ে রাশিদা আক্তার (২৫) প্রসূতি ব্যথা নিয়ে চান্দলা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে যান। সেখানে কর্তব্যরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সায়মা নাসরিন রাশিদাকে দেখে বলে প্রসূতি মায়ের সমস্যা নেই বাচ্চা ও মায়ের পজিশন ভাল আছে, আপনারা দুপুরে আসেন আমি নরমাল ডেলিভারি করাবো। পরিদশিকা সাইমা নাসরিনের কথামতো দুপুর ২ টায় রাশিদা তার মাকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে আসে। এরপর পরিদশিকা বিভিন্ন সময় জোর প্রয়োগ করে নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করে এর ফাঁকে রাশিদার অবস্থা শংকটাপর্ণ হলে একই বাজারে পল্লী চিকিৎসক ওমর ফারুককে দিয়ে বিভিন্ন রকম স্যালাইন ও ইনজেকশন দিতে থাকে এক পর্যায়ে রাশিদার অবস্থা অবনতি দেখে তাকে দ্রুত সিএনজি যুগে ব্রাহ্মণপাড়া প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠানোর জন্য সিএনজিতে তুলে দেয় পরিদর্শিকা ও পল্লী চিকিৎসক ওমর ফারুক । কিছুক্ষণ সিএনজি যাওয়ার পর রাস্তায় রাশিদা মারা যায়। রাশিদা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের খলিফাপাড়া এলাকার নুরুল মিয়ার মেয়ে ও মোরশেদ মিয়ার স্ত্রী। রাশিদার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এ বিষয়ে চান্দলা খলিফাপাড়ার স্থানীয়রা জানান ভুল চিকিৎসায় স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা সায়মা নাসরিন দুটি প্রাণকে হত্যা করেছে আমরা তার বিচার চাই। এ বিষয়ে চান্দলা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা সায়মা নাসরিন জানান, আমার কাছে যখন রোগী আছে তখন তার অবস্থা ভালো ছিল কিছুক্ষণ চিকিৎসা করার পর তার প্রেশার বেড়ে যায় এবং বমি হয় পরে আমি স্থানীয় বাজারের পল্লী চিকিৎসক ওমর ফারুককে দিয়ে ইঞ্জেকশন ও স্যালাইন পুস করাই। পরে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে আমি সিএনজি যুগে তাদের ব্রাহ্মণপাড়া একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠাই শুনেছি রাস্তায় সে মারা যায়। এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন,বিষয়টি দুঃখজনক তবে আমার পরিদর্শিকা চেষ্টা করেছে তবে রোগী আশঙ্কাজনক হওয়ার আগেই তাকে ব্রাহ্মণপাড়া অথবা কুমিল্লা প্রেরণ করার দরকার ছিল। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, আমি শুনেছি বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক স্বাস্থ্য পরিদর্শীকার দরকার ছিল দ্রুত ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেওয়া।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *