বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জন হয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা বান ইন্সিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন ১০ জন।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৩৪ জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নিউমার্কেট জোন পুলিশের সহকারী কমিশনার রিফাতুল ইসলাম।
অগ্নিকাণ্ডে আহত সবার চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটের দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ৩৩ জন মারা গেছেন। (শেখ হাসিনা) বার্ন ইনস্টিটিটিউটে এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন।’
রাত আড়াইটার পরে আরও দুজনের মৃতদেহ ঢামেকে আনা হয় বলে রমনা থানার সূত্রে জানা গেছে। পরিস্থিতিকে ভয়াবহ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।’
‘বাইরে [অন্য হাসপাতালে] কেউ আছে কি না এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঢামেক ১৪ জন ও বার্ন ইনস্টিটিউটে আটজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাইকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে,’ তিনি বলেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাত ১টা পর্যন্ত ভবনটি থেকে ৪২ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৭৫ জনকে।
এর আগে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ওই ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া উদ্ধার অভিযানে যোগ দেন আনসার সদস্যরাও।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, রাত ৯টা ৫০ মিনিটে তারা আগুনের খবর পান। প্রথম ইউনিট রাত ৯টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
