সোমবার উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন। সোমবার (১৭ জুন) জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (নিটোর) গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ২০০ জন রোগী। তাদের চিকিৎসা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কোরবানি করতে গিয়ে গরুর লাথি ও গুঁতা খেয়ে হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে আহত হয়েছেন অনেকে। অনেকের হাত-পায়ের রগ কেটে গেছে। অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন এদিকে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর গুতা, লাথি ও মাংস কাটার সময় ছুরিকাঘাতে আহত ৯৪ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন। সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে এসব চিত্র। ডেমরার মুক্তার হোসেন, সকাল ৯টার সময় জবাইকারী ব্যক্তি গরুর গলায় পোচ দিতে গিয়ে তার হাতের ওপর ছুরি চালিয়ে দিয়েছেন। এতে তার ডান হাতের রগ কেটে গেছে। দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। কিন্তু কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে অসহায় হয়ে পড়েছেন। মুক্তার হোসেন বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল থেকে বলা হয়েছে সেখানে রগের কাজ করা হচ্ছে না। রগের সেলাই দেওয়া হচ্ছে না। পঙ্গু হাসপাতাল থেকে বলেছে- সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় লাগবে। এখন কোথায় যাবো কী করবো?’ মিরপুর-১ নম্বর থেকে এসেছেন সেলিম মিয়া। গরুর গুঁতা খেয়ে পাঁজরের হাড় ভেঙেছে তার। জরুরি বিভাগে হুইল ট্রলিতে কাতরাচ্ছেন এই বয়ষ্ক মানুষ। সেলিম মিয়ার স্ত্রী বলেন, ‘গরু জবাই দেওয়ার সময় লাফ দিয়েছে। গরুর পায়ের লাথি খেয়ে ছিটকে পড়ে কোমরের হাড় ভেঙেছে’।’ নিটোরের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বলেন, সকাল থেকে ২০০ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ গরুর শিঙের আঘাত পেয়েছেন, আবার কেউ বা ছুরি চালাতে গিয়ে আঙুল কেটে ফেলেছেন। এ রকমই বেশি। কেউ আবার গরুর গুঁতা খেয়ে হাত-পা ভেঙেছেন।

By তালাশ বাংলা ডেস্ক

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *